সুভাষ মুখোপাধ্যায় জীবনী মূলক রচনা
জন্ম ও পারিবারিক পরিচয় :– ১৯১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম হয় । তার বাবার নাম ক্ষিতিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় , মা ছিলেন যামিনী দেবী । কলকাতার ৫০ নম্বর নেবুতলা লেনের ভাড়া বাড়িতে তার শৈশব কেটেছিল ।
ছাত্রজীবন :– ১৯৩০ সালে কলকাতার বউবাজারে মেট্রোপলিটন স্কুলে তাকে ভরতি করা হয় । ইতি মধ্যে টাইফোয়েড আক্রান্ত হওয়ায় তার দৃষ্টি শক্তি ক্ষিন হয়ে যায় । সপ্তম শ্রেণীতে উঠলে তিনি ভরতি হন সত্যভাম ইনস্টিটিউশনে । পরে ভবানী পুর মিত্র ইনস্টিটিউশনে পড়ার সময় শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেণ বিখ্যাত সংগীত শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায় কে । এই বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করার পর সুভাষ মুখোপাধ্যায় আশুতোষ কলেজে ইন্টারমিডিয়েট ভরতি হন । পরে তিনি ১৯৩৯ সালে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আই এ এবং ১৯৪১ সালে " কবিতা ভবন " থেকে বি এ পাস করেন ।
কর্মজীবন :– ব্যাক্তিগত ভাবে সুভাষ মুখোপাধ্যায় ছিলেন মাকস বাদে বিশ্বাসী । সমর সেনের কাছে " হ্যান্ডবুক অফ্ মাকসিজম " পড়ে তিনি এই আদর্শের প্রতি অনুরক্ত হন । ১৯৩৯ সালে তিনি লেবার পার্টি ও পরে কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন । ১৯৪২ সালে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ লাভ করার পর সুভাষ মুখোপাধ্যায় পার্টির মুখপত্র " জনযুদ্ধ " এর সঙ্গে যুক্ত হন । ১৯৪৬ সাল থেকে তিনি " দৈনিক স্বাধীনতা " পত্রিকায় সাংবাদিকতার কাজ নেন । দুবছর পর পার্টি বেআইনি ঘোষিত হলে তাকে কিছুদিনের জন্য বন্ধি করা হয় । ১৯৫১ সালে তিনি "পরিচয় " পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন । বজবজে চটকল মজদুর সংগঠনের দায়িত্বও তিনি নিয়েছিলেন । স্বাধীন ভারতের আইন অমান্য করে গ্রেফতার বরন করেন তিনি । পার্টির কাজের সঙ্গে মনের মিল না হওয়ায় ১৯৮১ সালে তিনি সদস্য পদ ত্যাগ করেন ।
সাহিত্য কর্ম :– সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত রচনা " কথিকা " নামে একটি গদ্য । ১৯৩৩ –৩৪ সালে যখন তিনি সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র তখন সত্যভামা ইনস্টিটিউশনের স্কুল ম্যাগাজিন " ফুগু " _ তে এটি প্রকাশিত হয় । তার প্রথম কাব্য গ্রন্থ " পদাতিক " এর জনপ্রিয়তার জন্য তিনি " পদাতিকের কবি " নামে পরিচিত ছিলেন । তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনা হলো – অগ্নিকোন , চিত্রকুট, ফুল ফুটুক , যত দূরেই যাই , কাল মধুমাস , ছেলে গেছে বনে , একটু পা চালিয়ে ভাই , ইত্যাদি । তিনি পাবলো নেরুদা , হাফিজ এবং নাজিম হিকমতের কবিতা অনুবাদ করেছিলেন । তার রচিত উপন্যাস – হাংড়াস , কে কোথায় যায় , অন্তরীপ , ইত্যাদি । ভ্রমণ কাহিনী " আমার বাংলা " নামক প্রথম গদ্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৫১ সালে । এই ধরনের অন্য লেখা – যখন যেখানে , ডাক বাংলার ডাইরি , ভিয়েতনামে কিছুদিন , টো টো কোম্পানি , ইত্যাদি । তার আত্মজীবনমূলক রচনা ঢোলগোবিন্দের আত্মদর্শন । ছোটোদের জন্য লিখেছিলেন – ইয়াসিনের কলকাতা , দেশ বিদেশের রূপকথা , এলাম আমি কথা থেকে , ইত্যাদি ।
সম্মান ও স্বীকৃতি :– ১৯৬৪ সালে তাকে সাহিত্য একাডেমী পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। ১৯৯১ সালে পিয়েছিলেন জ্ঞানপিঠ পুরস্কার ।
জীবনাবসান :– ২০০৩ সালে কলকাতায় তার মৃত্যু হয় ।
ছাত্রজীবন :– ১৯৩০ সালে কলকাতার বউবাজারে মেট্রোপলিটন স্কুলে তাকে ভরতি করা হয় । ইতি মধ্যে টাইফোয়েড আক্রান্ত হওয়ায় তার দৃষ্টি শক্তি ক্ষিন হয়ে যায় । সপ্তম শ্রেণীতে উঠলে তিনি ভরতি হন সত্যভাম ইনস্টিটিউশনে । পরে ভবানী পুর মিত্র ইনস্টিটিউশনে পড়ার সময় শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেণ বিখ্যাত সংগীত শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায় কে । এই বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করার পর সুভাষ মুখোপাধ্যায় আশুতোষ কলেজে ইন্টারমিডিয়েট ভরতি হন । পরে তিনি ১৯৩৯ সালে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আই এ এবং ১৯৪১ সালে " কবিতা ভবন " থেকে বি এ পাস করেন ।
কর্মজীবন :– ব্যাক্তিগত ভাবে সুভাষ মুখোপাধ্যায় ছিলেন মাকস বাদে বিশ্বাসী । সমর সেনের কাছে " হ্যান্ডবুক অফ্ মাকসিজম " পড়ে তিনি এই আদর্শের প্রতি অনুরক্ত হন । ১৯৩৯ সালে তিনি লেবার পার্টি ও পরে কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন । ১৯৪২ সালে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ লাভ করার পর সুভাষ মুখোপাধ্যায় পার্টির মুখপত্র " জনযুদ্ধ " এর সঙ্গে যুক্ত হন । ১৯৪৬ সাল থেকে তিনি " দৈনিক স্বাধীনতা " পত্রিকায় সাংবাদিকতার কাজ নেন । দুবছর পর পার্টি বেআইনি ঘোষিত হলে তাকে কিছুদিনের জন্য বন্ধি করা হয় । ১৯৫১ সালে তিনি "পরিচয় " পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন । বজবজে চটকল মজদুর সংগঠনের দায়িত্বও তিনি নিয়েছিলেন । স্বাধীন ভারতের আইন অমান্য করে গ্রেফতার বরন করেন তিনি । পার্টির কাজের সঙ্গে মনের মিল না হওয়ায় ১৯৮১ সালে তিনি সদস্য পদ ত্যাগ করেন ।
সাহিত্য কর্ম :– সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত রচনা " কথিকা " নামে একটি গদ্য । ১৯৩৩ –৩৪ সালে যখন তিনি সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র তখন সত্যভামা ইনস্টিটিউশনের স্কুল ম্যাগাজিন " ফুগু " _ তে এটি প্রকাশিত হয় । তার প্রথম কাব্য গ্রন্থ " পদাতিক " এর জনপ্রিয়তার জন্য তিনি " পদাতিকের কবি " নামে পরিচিত ছিলেন । তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনা হলো – অগ্নিকোন , চিত্রকুট, ফুল ফুটুক , যত দূরেই যাই , কাল মধুমাস , ছেলে গেছে বনে , একটু পা চালিয়ে ভাই , ইত্যাদি । তিনি পাবলো নেরুদা , হাফিজ এবং নাজিম হিকমতের কবিতা অনুবাদ করেছিলেন । তার রচিত উপন্যাস – হাংড়াস , কে কোথায় যায় , অন্তরীপ , ইত্যাদি । ভ্রমণ কাহিনী " আমার বাংলা " নামক প্রথম গদ্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৫১ সালে । এই ধরনের অন্য লেখা – যখন যেখানে , ডাক বাংলার ডাইরি , ভিয়েতনামে কিছুদিন , টো টো কোম্পানি , ইত্যাদি । তার আত্মজীবনমূলক রচনা ঢোলগোবিন্দের আত্মদর্শন । ছোটোদের জন্য লিখেছিলেন – ইয়াসিনের কলকাতা , দেশ বিদেশের রূপকথা , এলাম আমি কথা থেকে , ইত্যাদি ।
সম্মান ও স্বীকৃতি :– ১৯৬৪ সালে তাকে সাহিত্য একাডেমী পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। ১৯৯১ সালে পিয়েছিলেন জ্ঞানপিঠ পুরস্কার ।
জীবনাবসান :– ২০০৩ সালে কলকাতায় তার মৃত্যু হয় ।
ভালো কিন্তু উপসংহার দিলে ভালো হতো
ReplyDelete